শহরে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট: যানজটে জনভোগান্তি
- আপলোড সময় : ২১-১১-২০২৪ ১১:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-১১-২০২৪ ১১:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ শহরে ফুটপাত দখল করে চলছে ব্যবসা। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শহরবাসীকে। এ অবস্থা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন নাগরিকরা।
শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট, কালীবাড়ি পয়েন্ট, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কোর্ট পয়েন্ট, মল্লিকপুর, ওয়েজখালি পয়েন্ট, ষোলঘর, উকিলপাড়া পয়েন্ট, নবীনগর, কাজির পয়েন্ট, হাসপাতাল পয়েন্ট, নতুন হাছননগর পয়েন্ট, সদর থানার সামনে প্রভৃতি এলাকায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই আছে। এসব এলাকার ফুটপাতের দোকানপাট উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
যানজটমুক্ত শহর গড়ে তুলতে সুনামগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে দীর্ঘদিন আগে সবজি বাজারও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় ব্যবসায়ীরা সেখানে যেতে চাননি। খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য স্বল্প পরিসরে জায়গা রাখায় তারা সেখানে ব্যবসা করতে অনিহা প্রকাশ করেছেন।
সুনামগঞ্জ যানজটমুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েক মাস আগে ফলের বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে জেলা স্টেডিয়ামের পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন ব্যবসায়ীও ওই স্থানে ব্যবসা করতে যাননি। এই কারণে জায়গা এখনও একেবারে খালি পড়ে আছে।
এদিকে, শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট, কালীবাড়ি পয়েন্ট, টাউন হল মার্কেটের সামনে পোস্ট অফিসের সামনে ঠিক আগের মতো ফলের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পতিত হয়ে পড়ে আছে জেলা প্রশাসনের নির্দিষ্ট করে দেয়া ফলের বাজারের সেই জায়গাটি।
গত রবিবার বেলা ১১টায় জেলা স্টেডিয়ামের পাশে ফলের ব্যবসায়ীদের কোনো দোকান দেখা যায়নি। পুরো জায়গাটি খালি পড়ে আছে। এ সময় একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রশাসন জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পর থেকে কোনো ব্যবসায়ী এই স্থানে আসেননি। বরং এই জায়গায় এলাকার মানুষেরা ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। গ্যালারির নিচে মলমূত্র ত্যাগ করে জায়গা নোংরা করছেন। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ।
স্টেডিয়াম এলাকায় আসা সাজ্জাদুর রহমান জানান, ফলের বাজার না আসলে এখানে অন্য ধরনের বাজারের ব্যবস্থা করে দেওয়া দরকার।
আনিস মিয়া বলেন, ফলের ব্যবসায়ীদের কেউ তোলে দিতে পারে না, তাই যানজটও কমে না। কারণ ফলের সাথে কলা ব্যবসায়ী, সবজি ব্যবসায়ী সবই বসে। এতে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
পথচারী মানিক মিয়া বলেন, পাবলিক লাইব্রেরির সামনের সড়কে দিনে ও রাতে যানজট লেগে থাকে। দুইজন ব্যবসায়ীর ফলের দোকান ও সবজির দোকান রয়েছে অন্তত ১০টি। এরাই সিন্ডিকেট করে বেচাকেনা করে। এদের দেখাদেখি অন্যরাও দোকান মেলে বসে রাস্তায়।
রজব আলী বলেন, ব্যবসায়ীদের সুব্যবস্থা না করে দিলে যাবেই বা কেমনে। সবজির বাজার নামে, আসলে তো চাউলের বাজার। সবজি বেচাকেনার প্রশস্ত জায়গা নেই।
রাজ্জাক হোসেন বলেন, অস্থায়ী ফলের দোকান, সবজির দোকান নির্দিষ্ট স্থানে সুব্যবস্থা করে দেয়া হোক। যাতে সবাই এক সাথে সারিবদ্ধভাবে বসে বেচাকেনা করতে পারে। যখন এরা রাস্তা ছেড়ে চলে যাবে তখনই প্রশস্ত রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
ফল ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বলেন, যাদের কারণে প্রশাসনের সাথে ঝামেলা হয়েছিল, তারাই এখন পুনরায় একই স্থানে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও ফলের দোকান মেলে ধরেছে।
ক্রেতা শফিক উদ্দিন বলেন, কিচেন মার্কেটের সামনে পানের দোকান, শুটকির দোকান, ডিমের দোকানের কারণে যানজট লেগে থাকে। পুরাতন জেলের সামনে সবজির দোকান উচ্ছেদ হলে এই এলাকার যানজট কমে আসবে।
শরীফ আহমদ বলেন, ফুটপাট দখল করে ফলের ও সবজির ব্যবসা এবং অতিরিক্ত অবৈধ অটোরিকসার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আইনী ব্যবস্থায় এসব বন্ধ করে শহরকে যানজটমুক্ত করা দ্রুত প্রয়োজন
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ